বিশেষ করে আমাদের রেডিও শ্রোতাবন্ধুদের জন্য বিদেশী বেতার গুলো থেকে পাঠানো ছোট/সামান্য উপহার/পুরস্কার সামগ্রীর উপর থেকে ভ্যাট/ট্যাক্স/ডাক মাশুল ইত্যাদি প্রত্যাহার করার জন্য আসুন আমরা সবাই মিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে কিছু বলার/অনুরোধ করার চেষ্টা করি। আমরা কাউকে কোন ধরনের খারাপ কথা যেন না বলি। আমরা আমাদের ভদ্রতা/বিনয় বজায় রাখবো যে কোন মুহুর্তে। বিনয়ী হলে অনেক কিছু করা যায়। আসুন আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করি।
বরাবর
বিভাগীয় প্রধান
বৈদেশিক ডাক
বিভাগ
জিপিও,
ঢাকা-১০০০।
বাংলাদেশ।
বিষয়: উপহার
দ্রব্যের উপর থেকে ভ্যাট/ট্যাক্স/ডাকমাশুল মওকুফকরণ প্রসংগে।
জনাব/জনাবা,
যথাবিহীত
সম্মান পূর্বক নিবেদন এই যে, আমি একজন বেতার শ্রোতা ও বেতার সংগঠক। আমি বাংলাদেশী
বেতারসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বেতার অনুষ্ঠান শুনে থাকি বিশেষ করে চীন, জার্মানী,
তাইওয়ান, কোরিয়া, রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, তুর্কি, ফিলিপাইন, ভারত, নেপাল,
ভূটান, চেক-প্রজাতন্ত্রসহ অন্যান্য দেশের এবং নিয়মিত মতামত পাঠায়। বিশেষ করে বাংলা
ও ইংরেজি বিভাগের নানা অনুষ্ঠান শুনে থাকি এবং আমাদের দেশের নানা বিষয়সমূহ সেখানে
তুলে ধরার চেষ্টা করি। বিদেশী সেসকল বেতার থেকে আমাদের দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি,
বিনোদন, প্রশাসন, সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান
প্রচার করে থাকে। যার ফলে বিদেশে আমাদের দেশের ভাবমূর্তি প্রকাশ পায়। বিদেশী বেতার
গুলো শ্রোতাদের জন্য বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কুইজের আয়োজন করে থাকে এবং আমরা
সেখানে অংশগ্রহণ করে থাকি। তাছাড়া আমরা বেতারগুলোর রিসিপশনমান সম্পর্কে মতামত
পাঠায় যার প্রমাণস্বরূপ তারা আমাদের জন্য কিউএসএল কার্ড ইস্যু করে থাকেন। যেটা
একজন বেতার শ্রোতার কাছে অমূল্য জিনিস। অনেক সময় ম্যাগাজিন এবং ছোট ছোট কিছু উপহার
সামগ্রী আমাদের জন্য পাঠায়। বিশেষ করে কুইজ বিজয়ীদেরকে বেতারগুলো সামান্য কিছু
উপহার পাঠায়। যেমন: রেডিও, ক্যালেন্ডার, ব্যাগ, টি-শার্ট, কলম, বল, বেলুন, হাতঘড়ি
ইত্যাদি। আমরা যারা রেডিও শুনি তাদের মধ্যে ৯৫% শ্রোতাই ছাত্র। বেতারের মাধ্যমে
তারা কিছুটা ঞ্জান আহরণ করতে পারে এবং দেশ/বিদেশী বেতারগুলো থেকে এই ধরনের কিছু
উপহার পায় যেগুলো শ্রোতাদের আরো উৎসাহিত করে
বেতার শুনতে। কিন্তু আমাদের জন্য পাঠানো ঐসকল বিদেশী ছোট উপহারগুলো পোষ্ট অফিস
থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বড় অংকের টাকা ভ্যাট/ট্যাক্স হিসেবে পরিশোধ করতে হয়। যেটা খুবই
কস্টকর ব্যাপার। কখনো কখনো একটা ৪০০ টাকা দামের রেডিও ছাড়িয়ে নিতে ট্যাক্স দিতে হয়
৯৮০ টাকা। আবার একটা চাবির রিং ছাড়িয়ে নিতে লাগে ২২০ টাকা। এ ধরনের হাজারো উদাহরণ
আছে। অনেক সময় শ্রোতাদের কাছে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা উপহারটি ছাড়িতে নিতে না
পেরে বাধ্য হয়ে সেটি ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এতে আমাদের মানসিক কষ্ট হয়। হোক সেটা ১০
টাকার জিনিস, উপহার বলে একটা কথা আছে। তাছাড়া অনেকেই এই উপহারগুলো সংরক্ষণ করতে
খুব বেশী পছন্দ করেন। বিদেশী খামে একটা চিঠি পেলে শুধু শ্রোতারা কেন সবাই খুশী হয়,
সেই চিঠিতে যাই থাক না কেন। তাই আমি শ্রোতাদের পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে এই সামান্য
আবেদনটি করছি- কর্তৃপক্ষ যেন আমাদের এই উপহার সামগ্রীর উপর কোন প্রকার
ভ্যাট/ট্যাক্স না ধরেন।
অতএব, আপনার
নিকট আমার আকুল আবেদন, আমাদের এই ছোট আবদার টুকু রক্ষা করে বিদেশে বাংলাদেশের
ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সুনাম ধরে রাখতে এবং আমাদেরকে দেশী/বিদেশী রেডিও শুনতে উৎসাহিত করতে বিশেষ ভুমিকা রাখবেন।
বিনীত
নিবেদক
মো:
সোহেল রানা হৃদয় (S21MP)
প্রেসিডেন্ট:
ফ্রেন্ডস ডি-এক্সিং ক্লাব
ভিউয়ার/পরিদশর্ক,
আইজিএসএন্ডসি, ঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা-১২০৬।
মোবাইল:
+৮৮ ০১৭১৫৬৬৯৫৫৪। ইমেইল: kushtia.rana@gmail.com
অনুলিপি:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা।
বিভাগীয় শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়, ঢাকা।
ফরেন পোস্ট অফিস, খুলনা।
মংলা শুল্ক ভবন, খালিশপুর, খুলনা।
ফরেন পোস্ট অফিস, চট্টগ্রাম।
বিভাগীয় শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়, চট্টগ্রাম।
বিভাগীয় শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়, রাজশাহী।
বিভাগীয় শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়, বরিশাল।
বিভাগীয়
শুল্ক কর্মকর্তার কার্যালয়, সিলেট।
আসুন আমরা সবাই একটি করে হলেও চিঠি, মোবাইল কল বা ই-পত্র প্রেরণ করি।
নিচে কিছু নাম্বার সংযোজন করলাম।
রিপোর্ট: হৃদয়
০৪০৪২০১৩
No comments:
Post a Comment